ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনাল আয়কর বিষয়ে ফ্যাটচুয়াল পয়েন্টে সর্বোচ্চ কোয়াসি জুডিশিয়াল কোর্ট। তবে ল’ পয়েন্টে ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রেফারেন্স দায়ের করা যায়। আপীলাত যুগ্ম/অতিঃ কর কমিশনার এবং কর কমিশনার(আপীল) এর রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ করদাতা অথবা ডিসিটি ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনালে আপীল মামলা দায়ের করতে পারেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনাল আয়কর অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রভিশন ও নিজস্ব নিয়ম কানুন দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন সত্ত্বা। ট্রাইবুনালের ভাষা ইংলিশ।
তদাণীন্তর পাকিস্তানের করাচীতে প্রতিষ্ঠিত ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনালের একটি বেঞ্চ ১৯৫৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সালে ৩টি বেঞ্চ নিয়ে ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনালে ৭টি দ্বৈত বেঞ্চ রয়েছে যার মধ্যে ৫টি ঢাকায় এবং ১টি চট্টগ্রামে, ১টি খুলনায় ও ১টি রংপুরে অবস্থিত। প্রত্যেকটি দ্বৈত বেঞ্চ ২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত যারা যৌথভাবে রায় প্রদান করেন। ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনালের প্রেসিডেন্ট হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সদস্যকে সরকার নিয়োগ প্রদান করেন। ট্রাইবুনালের সদস্য হিসাবে সাধারণতঃ কর কমিশনারগণকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান/অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, অবসর প্রাপ্ত কর কমিশনার, অবসর প্রাপ্ত/বর্তমান জেলা জজ, চার্টার একাউনটেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউনটেন্ট, এভভোকেট/ ইনকামট্যাক্স প্র্যাকটিশনারকেও সরকার ট্রাইবুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করতে পারেন।
ট্যাকসেস আপীলাত ট্রাইবুনালের দ্বৈত বেঞ্চসমূহ মামলার শুনানী গ্রহনান্তে রায় প্রদান করে থাকে। প্রত্যেকটি দ্বৈত বেঞ্চ ২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। কোন বিষয়ে মতদ্বৈততা ঘটলে প্রেসিডেন্ট অন্য এক বা একাধিক সদস্যকে উক্ত মামলার শুনানী গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়।